চলছে-চলবে - Biswarup Bhattacharyya
একজন মা তার ছেলের জন্যে চোখের জলে ভাসিয়ে দিচ্ছেন, তো কি হয়েছে? বাংলাতে আগেও চলত, এখনও চলছে এবং আগামী দিনেও চলবে। কিন্তু শুধু চলবে কেন? দৌড়বে না ই বা কেন? বা দাঁড়াবেও না কেন? আরে মশাই, দাঁড়ালে চলবে, গন্তব্যে পৌঁছতে হবে না। আর দৌড়বে কোথা দিয়ে, সব জায়গায় তো মানুষের ঢল। কিন্তু এখন তো দুর্গাপূজা নয়, তাহলে কিসের জন্য মানুষের ঢল। এতো কাজের মাঝে, এটা ভুলেই যাচ্ছিলাম প্রায়, কিন্তু ভুললে তো চলবে না, আজ ২১ শে জুলাই। ‘শহীদ দিবস’। দিদি ডাক দিয়েছেন, যেতেই হবে। নইলে জনসমুদ্র হবে কিভাবে? দুর্গাপূজা না হলেও, খুব একটা ছোটখাটো উৎসব বলা যায় না। এই উৎসবে দাদা-দিদিদের গর্জনে কি কোনও মা এর তার ছেলের জন্য আর্তনাদ কোনও প্রশাসনিক মহলে পৌঁছবে? হয়তো না পৌঁছানটা স্বাভাবিক, তাদের তো আবার দাদা-দিদিদের ‘গার্ড অফ অনার’ দিতে হয়, নইলে সবকিছু আরও ঘেঁটে ঘ হয়ে যেতে পারে। এখন সবাই বলবে, আমি কি সব ভুলভাল কথা বলছি। মিছিল-মিটিং তো সারাজীবনই দেখছি, এ আবার নতুন কি? দিদি গো নতুন করে বাঁচতে পারব ভেবেই তো বাংলার মানুষ আপনাকে সিংহাসনে বসিয়েছিল, কিন্তু নতুন কি কিছু হোল আদৌ? তা তো বাংলার মানুষই বলতে পারবে। তবে আমিও বাংলার মানুষদের মধ্যে একজন, আমার মতে বললে বলব, হ্যাঁ বদলেছে ঠিকই। শুধু রং, আর কিছু নয়। বাংলার রাজনৈতিক দলগুলো..., না না শুধু বাংলার বলব কেন, পুরো ভারতবর্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-নেত্রীরা শুধু নাকি মানুষের জন্য কাজ করার অঙ্গীকারবদ্ধ, তাহলে আমরা চাই আপনারা একবার বলুন, ‘মানুষ যে যার নিজের কাজ করুক, সরকার তাদের যে কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করতে সাহায্য করতে বদ্ধপরিকর থাকবে এবং শাসক দল কোনও পরিস্থিতিতেই মানুষের কোনও আসুবিধা হোক এরকম কোনও কাজ করবে না’। সত্যি বলছি দিদি, আপনি যদি এখন শত কটি প্রনাম পেয়ে থাকেন, তাহলে হাজার কটি পাবেন, এটা আমার বিশ্বাস। সত্যি কথা বলতে কি আমরা না দাদা-দিদিদের যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়ছি দিনে দিনে। আমরা আর দাদা-দিদিদের চাই না, আমরা এবার শুধু মা-বাবা চাই, যারা তাদের ছেলে-মেয়েদের কষ্টটা অন্ততপক্ষে একটু হলেও অনুভব করতে পারবে।