ক্লাসরুমের সেই লাস্ট বেঞ্চটা - অভিজিৎ পাল
আমি একজন কলেজ স্টুডেন্ট। কলেজের ক্লাসরুমেও লাস্ট বেঞ্চ আছে। কিন্তু স্কুল লাইফের লাস্ট বেঞ্চের কথা কি ভোলা যায়? আমি স্কুলে "লাস্ট বেঞ্চারস" দের মধ্যে একজন ছিলাম। ওঃ! কি আনন্দ লাস্ট বেঞ্চে বসে সেটা কেউ না বসে বুঝতে পারবে না। ক্লাস চলাকালীন স্যার যখন পিছন ফিরে বোর্ডে কিছু লেখেন তখন আমরা মানে লাস্ট বেঞ্চারসরা যেন এক অদ্ভুত বাক স্বাধীনতা পেয়ে যেতাম। কিন্তু স্যার এদিকে ফিরলেই আবার সব চুপ। এ এক অপার্থিব আনন্দ। তারপর স্যার গেলেই বেঞ্চ বাজিয়ে গান গাওয়া,বেঞ্চেই পেন ফাইটিং খেলা,পাঞ্জা আর ক্লাস বাঙ্ক মেরে ধরা পরে যাওয়া--এ সবও এনযয় করেছি। ওই দিনগুলো আর ওই লাস্ট বেঞ্চটা কে খুব মিস করছি আজ। কলেজেও লাস্ট বেঞ্চে বসে আনন্দ করা যায়,কিন্তু স্কুল লাইফের আনন্দ আর কলেজের আনন্দের মধ্যে পার্থক্যটা এই যে,স্কুল লাইফে একটা দিসিপ্লিনের মধ্যে থেকে আনন্দ করতে হয়। আর এই আনন্দটাই তো বেশি প্রভাব ফেলে! তাই আজও যখন একা থাকি তখনই মনে মনে চলে যাই ক্লাসের ওই লাস্ট বেঞ্চটাতে। এ এক আশ্চর্য অনুভুতি। জীবনের বইয়ে স্কুল লাইফেরও অবদান আছে। যারা স্কুলে পড়ো, তাদেরকে অনুরোধ করি যে---তোমরা শুধু বই পড়ো না,এটা স্কুল লাইফ। এ চলে গেলে আর ফিরে আসবে না। তাই এই সময়টাকে এমন ভাবে এনযয় করো যাতে প্রতিটি সেকেন্ড প্রতিটি মুহূর্ত তোমার জীবনের ডায়েরীতে লেখা থাকে। আর যদি সম্ভব হয় তো কোনদিন ক্লাস এর লাস্ট বেঞ্চে বসে দেখ।