একগুচ্ছ মুমূর্ষু গোলাপ - অমিত দেবনাথ
সূর্য অস্ত যাবার আগে সমুদ্রের পাড়ে যদি কেউ দাঁড়িয়ে থাকে,
তখন সে বুঝে এর কূল কতদূর।
আর তখনি একটা দীর্ঘশ্বাসে সামনের বালিতল থেকেশুভ্রশঙ্খ উদয় হয়।
এর সাথেই জন্মনেয় বেদনার সুর।
সমুদ্রের প্রতিটি ঢেউ যখন আকাশ পাতাল স্পর্শ করে,
তখন ঢেউ এর ভাঁজে সূর্যের আলোর
কণা গুলো জড়িয়ে একাকার হয়ে যায়।
আর যে চক্ষু চেয়ে আছে বহুদূর,
বহুকাল ধরি তার কাছে মনে হয় সামনে যেন জলন্ত অগ্নিগিরি।
কিছুক্ষণ বাদে মনের অজান্তেই অবাধ্য
পায়ে হেঁটে গিয়ে গঙ্গাজলে পুষ্পাঞ্জলি দেবার মত সমস্ত দেহটা লুটিয়ে দিয়ে ,
শুদ্ধতা নামক পবিত্র অশ্রুজলে কাচের বোতল ভর্তি করি।
মাঝে মাঝে শরীর অপবিত্র হয়ে গেলে কাচের বোতলের পাশে একগুচ্ছ গোলাপ নিয়ে ঘরের টেবিলে যত্ন করে রেখে দিবো।
পাপড়ি গুলো যখন তৃষ্ণার্ত হবে তখনি ওই
বোতল থেকে পবিত্র জল ছিটিয়ে সতেজ করবো,
তোমাকে দেবার জন্য যত্নে রাখা হাজার বছরের গোলাপগুচ্ছের উপর।