"ধর্ষণ" - Tapan M Chisty(তপন এম. চিশতী)
"ধর্ষণ"
কথাটা শুনলেই, গা কেমন জ্বলে ওঠে
তাই না ??
সমাজের কিছু কুৎসিত মানুষ আর তাদের
ন্যাংটা মনের আঁশটে গন্ধ,
বিষাক্ত করে তুলেছে আমাদের
সভ্য মনের বিশুদ্ধ বাতাসকে।
পার্কষ্ট্রীট- দিল্লি- বারাসাত একের পর এক
বিকৃত মস্তিষ্কের হিংস্র লেলিহান,
গোলাপি ঠোঁটের ফাঁকে
সিগারেটের ফুরফুরে ধোঁয়া, চায়ের কাপে
চুমুক দিয়ে ধর্ষণের টুকরো খবর আর
নিউজ চ্যানেলের টিয়ারপি এর ছড়াছড়ি নিয়ে কটূক্তি;
খুব লজ্জা করে,
নিজেকে পুরুষ বলে ভাবতে
তাই না ......?
কেন এই পাশবিক অত্যাচার ,
তবে কি মেয়েদের শরীর এতটাই সস্তা?
বস্তাপচা দেশের আইন, রাজনেতাদের চুলচুলি আর
'কাটাছেঁড়া ধর্ষিত শরীরের উপর
লাল- সবুজ- হলুদ কত্ত রঙের
চাদর চাপানোর অক্লান্ত পরিশ্রম'-
ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে করে দেশটাকে !
মৃত্যু হল ধর্ষিত শরীরের।
মুক্তি পেল ইভ এর আত্মা।
উত্তাল সারা দেশ,উন্মাদ আমাদের চেতনা,
মিছিলের পর মিছিল,দু-চার জন গেফতার।
কে আগে মোমবাতি জ্বালিয়ে ভিড়ের স্রতে প্রথম হবে,
শুরু এবার তার লড়াই ।
আমরা ছাড়ব না, জিততে আমাদের হবেই;
যুদ্ধ শেষ,
বাড়ি ফিরেই আপনজনের নিরাপত্তার চিন্তা।
সারাদিনের অক্লান্ত পরিস্রমের পর
এবার একটু 'ফেসবুকে' চিরুনি তল্লাস।
সুপার লাইক একটা পোস্টে -
"ধর্ষণকারিদের লিঙ্গ কেটে মেরে ফেলা উচিত"
একটা কমেন্ট
"আরব ও ইরানের আইনকেই আমি সাপোর্ট করি" ,
লাইকের পর লাইক।
হটাত এ চোখে পড়ে
সুন্দরী- সুগঠিত- আকর্ষক এক নারী শরীরের
আলোক চিত্র।
উত্তেজনার কাঁটাটি জিরো ডিগ্রি থেকে একেবারে নব্বই
ডিগ্রিতে, দরজা বন্ধ করে দেশি- বিদেশী কিছু
নীল ছবিতে মনোযোগ,
আর মুখসের আরালে লুকিয়ে থাকা
'রঙ - বেরঙের কতশত ফানটাসাইজ'।
মানসিকভাবে ধর্ষিত হল-
আরও এক ইভ এর কল্পিত শরীর............।।