অস্তিত্বের জন্য চোখের জল - ANKUR KUNDU
হাতুড়ি পিটতে পিটতে তোমার হাতে
ফোসকা পড়লে
আমি কাঁদতাম !
ভুলতে চেয়েছিলাম কি হয়েছিল রাত পোহালে !
সন্ধ্যাপ্রদীপ তখনও জ্বলেনি ,
যখন তোমার ঘাম কপাল চুঁইয়ে
পড়েছিল দোরগোড়ায় -
আর তুমি ভিজে গেঞ্জি নিঙড়ে
বার করেছিলে একটাই শব্দ
তুমি ‘পুরুষ’ !
তুমি পুরুষ বলেই আমি
আজও দালানে চুল শুকাই ৷
তুমি পুরুষ বলেই তোমার হাতে ধরা
লোহাটিকে দেখে শরীর শিহরিত হয় ৷
তুমি কালও কামার ; আজও আমি
কামার-বৌ ৷
বোধহয় ভোর-রাতে উঠেছিল তরঙ্গ
বুকে ৷ রাত পেরিয়ে আমারই পাশে
পড়েছিল নিস্তরঙ্গ ,
তারপর কপালে হাত দিয়ে ওর
শীতল শরীর জড়িয়ে শুয়ে থাকলাম
আরও কিছুক্ষণ ৷
এরপর বহুদিন কেটে গেছে -
সিঁথিতে এখনও সিঁদুর দিই
আমি ৷ ঘরে তোমার ছবি রাখিনি
আমি ৷ মৃত্যুর পরে একবারও গাল ভেজায়নি
আমি ৷ তোমার শরীর যতদিন ঘেমেছিল ,
আমার চোখও ততদিন ভিজেছিল !
হাতুড়ি পিটতে পিটতে তোমার হাতে
ফোসকা পড়লে
আমি কাঁদতাম !
ভুলতে চেয়েছিলাম কি হয়েছিল রাত পোহালে !