বিগত দশ বছর ধরে আমরা বিরাজমান। কিছু প্রউক্তুশিল কারণে আমাদের মেইন ওয়েবসাইটটি কিছুদিন বন্ধ ছিল। আমাদের কাজ চলছে, আমরা আবার আসিব ফিরে। কিন্তু ততদিন আমাদের এতদিনের আর্কাইভটা প্রকাশ করা থাকল। অনেক পুরনো জিনিসপত্র পাবেন, যদি কারর কন আপত্তি থাকে আমাদের কে মেইল করে জানাবেন। admin@werbangali.com
আপনি যদি আমাদের e-commerce shop খুজ্জেন তাহলে এই লিঙ্ক এ ভিজিট করুন : shop.werbangali.com

দুপুরে একটু শোয়া যাবে - ANKUR KUNDU

ছোটুর মা প্রতি দুপুরে সামনে খাবারের থালা রেখে এভাবেই হাত নেড়ে মাছি তাড়ায় ৷ উঠোনে গিয়ে ছেলের হদিশ না পেলেও একবার “ছোটু , আয় বাবা , খেতে দিয়েছি” ডেকে আবার মাছ তাড়াতে বসে ৷ ইদানীং বয়স বাড়ছে , ফলে হাত নাড়ানোর সেই জোরটাও নেই ; মাঝে-মাঝেই ঘুম চলে আসে চোখের পাতায় ৷ ছোটুর মা ভালোই বুঝতে পারে যে জরাজীর্ণ শরীরটা নিয়ে বেশিদিন চলা যাবে না ৷ সাত বছরের দুরন্ত ছোটুকে নিয়ে তার চিন্তা হয় , বেশিরভাগ সময়েই বন্ধুদের সাথে বড়ো রাস্তায় খেলতে যায় ৷ ওখানে রাস্তা সারাইয়ের কাজ হচ্ছে ৷

 

       আজ দুপুরেও ছোটুর মা ভাত নিয়ে বসে ছিল ৷ হঠাৎ পাড়ার একজন এসে খবর দিল যে ছোটু নাকি গাড়ি চাপা পড়েছে , ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ ‘ছেলে ফিরবে’ আশা করে ভাতের থালা ঢাকা দিয়ে মা ছুটল হাসপাতালে ৷ ততক্ষণে রাস্তা তৈরীর বড় বাবুরা পাড়ার লোকেদের সাথে হাসপাতালে গিয়ে ময়না-তদন্তের সব নিয়ম পূরণ করে চলে গেছে ৷ মা পৌঁছে দেখল ছেলেটাকে হাসপাতালের বাইরে মাটিতে শোয়ানো আছে ! তখন থেকে এভাবেই ছোটুর মা ছোট হয়ে যাওয়া মাংসপিন্ডের শরীর থেকে মাছি তাড়াচ্ছে ৷ আলতো হেসে একবার শুধু গুনগুনিয়ে বলল , “ছোটুর শরীরটা গুটিয়ে থাকলেই বা কি ! আমি আজ থেকে দুপুরে টানটান করে একটু শুতে পারব , নাই বা ঘুমালাম !”