বিগত দশ বছর ধরে আমরা বিরাজমান। কিছু প্রউক্তুশিল কারণে আমাদের মেইন ওয়েবসাইটটি কিছুদিন বন্ধ ছিল। আমাদের কাজ চলছে, আমরা আবার আসিব ফিরে। কিন্তু ততদিন আমাদের এতদিনের আর্কাইভটা প্রকাশ করা থাকল। অনেক পুরনো জিনিসপত্র পাবেন, যদি কারর কন আপত্তি থাকে আমাদের কে মেইল করে জানাবেন। admin@werbangali.com
আপনি যদি আমাদের e-commerce shop খুজ্জেন তাহলে এই লিঙ্ক এ ভিজিট করুন : shop.werbangali.com

আশ্রয় –শেষ সাশ্রয় - ANKUR KUNDU

সকালে ঘুম ভাঙলেই কানে আসে ঐ বুড়ো ফেরিওয়ালার ডাক ৷ অত্যন্ত কর্কশ এবং সরস; অমুক চায় , তমুক চায় করে হাঁকে !

                             

                              জানালার মশারিতে আঙুল রেখে

                              খেলি ‘ইকির-মিকির-চাম-চিকির’

                                     “খেলনা নখ চায় , এই একপিস্ মশারির দড়ি”

                              ‘চামের কাঁটা’

                              লোকটির আঙুলটা দেখতে ইচ্ছে করছিল ,

                              ওর আঙুলে কি মোটা চামড়া

                              সলগ্নার পায়ের কুলাটির মতোই ?

                                     “খেলনা গন্ডার চায়”

                              ও অনার্যগোষ্ঠী !

             

সকালে ঘুম ভাঙতেই কানে আসেনি ঐ বুড়ো ফেরিওয়ালার ডাক ৷ তার আগেই নীচে দাঁড়িয়ে ছিলাম ওকে দেখার জন্য ! ও সন্তানহীন !

                                    

                                     “কিছু নিবেন ?”

                              (না –বলব ভেবেও বলিনি)

                              ‘হ্যাঁ , মশারির দড়ি কত ?’

                                     “ও নাই , আজ মুখোশ এনেছি”

                              (কেন –জিজ্ঞাসা করিনি)

                              ‘গতকাল তো ছিল !’

                                     “আজও আছে , বাড়ির মশারিতে”

                              গতকাল রাতে ডিভোর্স পেপার পেয়ে

                              মুখ দেখিনি আয়নায় ; মুখোশটা নিলাম কিনে !

                

সকালে ঘুম ভেঙে শুনি এক ফেরিওয়ালার ডাক ৷ ও যে নয় , তা এই বসা স্বর শুনেই বুঝেছি ৷ নীচে গিয়ে দেখি সেই বুড়ো ৷

                             

                              ‘ঐ তো মশারির দড়ি

                              সুতো ওঠা , বেআব্রু শরীর কেন ?’

                                     “বউয়ের গলা থেকে টানতে গিয়ে”

                              বউ তো আমার

                              ছিল

                              ‘তোমার বউ ভালো আছে ?’

                                     “গত পরশু অনেকক্ষণ ঝুলে

                                     কালো ও নীল . . . ভালো আছে ,

                                     গতকাল বলিনি ছোঁয়া লাগে পাছে”

 

                   সাশ্রয় টিকিয়ে দিল বুড়োটার শেষ অজানা আশ্রয় –বউ ও মুখোশ ৷

                  ওর চেনা আশ্রয় কোমরে গোঁজা ! ডিভোর্স হল , পরের সকাল

                  এল ; নীচে না নেমে ‘. . .মজুমদার . ধেয়ে এল. . .’