ভিখারী -কিছু না পাওয়া বাটি - ANKUR KUNDU
উদ্বৃত্ত কিছু পিঁপড়ের ঠেলাঠেলি ,আর
নিজেদের ভাষায় অশ্রাব্য গালাগালি –আমের আঁটি নিয়ে !
লাল-কালো দিয়ে সাজানো জোড়াখানিক পা ছুটছে ,
নারী-পুরুষ ভুলে পিঁপড়েগুলো সম্মান বেচছে
উটকো এক পাগল লোকের লাল মাখানো আঁটির জন্যে –
একটু খাবারের আশায় ভিখারীর কাছে তারাও হন্যে !
প্ল্যাটফর্মের দামী জুতোর আড়ালে
এক-দুই-তিন টাকার বদলে সাজানো ফাঁকা বাটি –
জানান দেয় সে ভিখারী ,
পিঁপড়েগুলো ভিখারীর এঁটো নিয়ে করে কাড়াকাড়ি !
আমার পয়লা নম্বর সাজ –আজ
দূর আরবে পাড়ি দেব
হোরেশিয়ো হয়ে রেশিয়ো কষবো
গরীব-ধনীর কচকচানির –
আমি দু’হাত দিয়ে তুলতে যাবো
ভিখা. . .রী. . .ভিখারীকে. . . ছিঃ !
লাল গড়িয়ে পড়ছে ,তার মাঝে
সূঁচালো নাকের ময়লা গলা বেয়ে নেমে তার
খোলা বুকে –কিছুক্ষণ ঘটনার গন্ধ শুঁকে
ফেরত গেলাম ৷ আমি ভেবেই যাবো দিনে-রাতে
সম্রাজ্ঞী হবো –সময় কাটিয়ে ভিখারীর সাথে !
আজ আবার আমি ও ভিখারী ,
পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ৷ দু’হাত বাড়িয়ে –
তাকে ছুঁয়েছি , ছুঁয়েছি তাকে –হোক তা ছায়া ,
আমি কবিতা লিখে খ্যাতি পাবো
তখন চার টাকা গুনে ফাঁকা বাটিতে দেবো ৷
আজ অপেক্ষা করুক লোকটা , ভিখারী তো –
চার টাকার লোভ ছাড়বে সে :কদাচ না !
আক্ষেপ তবু আমার রইলো –
ভিখারীটি আজও অপেক্ষা করায়নি , সময় নেয়নি ;
লাল মাখানো আঁটি আর ফাঁকা বাটি যথাস্থানে ৷
সে ভিখারী , অথচ ,
পিঁপড়েগুলো ভিখারীর এঁটো নিয়ে করে কাড়াকাড়ি !