হোঁচট : জীবনের বিরতি - ANKUR KUNDU
সন্ধ্যের পরে বৃষ্টিটা নিবিড় হয়েছে , বুঝেছি হবে না
সকালে ওঠা , সকালে যাওয়া !
হনুমান টুপি-সোয়েটার-লাঠিও উঠবেনা ,
সন্ধ্যের পর বৃষ্টিটা নিবিড় হয়েছে , বুঝেছি হবে না
সকালে বিছানায় পড়ে থাকা !
সকালের আলো চোখে পড়ছে , চামড়াটা জ্বলছে
আর প্রতিফলিত হয়ে ফিরছে . . .
প্রতিফলিত হয়ে ফিরছে পাশেরই কুঁচকানো চামড়ায়
যেখানে হাত বোলালে শৃন্যে হাত ওড়ে . . .
বৃষ্টির ফোঁটার মাঝেই ডুব মেরেছে
কাজের মেয়ে ; তাই ব্রেক পেল না গত উপবাস ৷
টুকরো কাগজের নৌকা বাথরুমে ভাসছে , বালতির জলে
দুলছে অবিরাম আলস্য . . .
দুলছে অবিরাম আলস্য বাতাসের মতো , এদিক-ওদিক ,
বাদ পড়েছে শরীর , সেখানে সি-ও-টু . . .
শরীরে বাজনার শব্দ আয়নার মধ্যে লুকিয়ে যাচ্ছে
এবং সকালটাও নিভছে
যে চোখে নিজেকে দেখি সকলের আড়ালে
সে চোখে দেখেছি কষ্ট
চুড়ি-ভাঙার এবং হাত-কাটার ; একসাথে কত রক্ত
দেখেছি লোহার শরীরে
লোডশেডিঙের ফাঁকেই মেঘ উঠেছে
সারা শরীর জুড়ে –আকাশের ৷ সব দিক
বন্ধ করতে হবে ; এক ফোঁটা বৃষ্টিও ভেজাতে পারে
নির্বিকার শরীরের ফ্লুইড যদি হাহাকার চায়
তবে ‘হিউমার’ কোথায়
নির্বিকার শরীরের ফ্লুইড রাতের মুখ মুখ ছিঁড়ে
ট্র্যাজেডি ছড়ায়
একপাশে বসে থাকে গেলাস-ভর্তি জলেরা , আর
দু’পাশেই জেগে থাকে ছায়ারা
রাত এসেছে রাতের মতোই ৷ দীর্ঘ পঁচাত্তর বছরের রাতে
বদলেছে নিস্তব্ধতার টেম্পো ;
তীব্র কন্ঠের নিভু নিভু আগুন সাড়ে সাত দশকেও জ্বলছে
ঠান্ডা জলের ঝাপটায় ;
যদি আমাকে বন্দী করে জিজ্ঞাসা করা হয়
ভালোবাসা কী ?
উত্তরে বলব –অস্তিত্ব , যার আগমনে অনুভূতি ,
যার গমনে অনুভূতি !
রাত শেষে ভোর হতে বাকি আছে
রাত শেষে আমার ঘুমটাও বাকি -
সকালে ওঠা , সকালে যাওয়া
সকালে বিছানায় পড়ে থাকা বাকি !
হাতের মুঠোয় বালি রেখে চেয়েছি বহু বছরের
পরে একটাই বছর ;
কিছু রাত জাগতে হয়েছে কাফন ও মাটির সামনে , আর
বাকিটা ভিজে কাঠের জল শুষে ;
ঘুমনোর আগে কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে
শূন্যতা কী ?
এঁকে দেব একটা বৃহৎ গোলক , যার মধ্যে আমি এবং
বিরতির পরে আমি !