বিগত দশ বছর ধরে আমরা বিরাজমান। কিছু প্রউক্তুশিল কারণে আমাদের মেইন ওয়েবসাইটটি কিছুদিন বন্ধ ছিল। আমাদের কাজ চলছে, আমরা আবার আসিব ফিরে। কিন্তু ততদিন আমাদের এতদিনের আর্কাইভটা প্রকাশ করা থাকল। অনেক পুরনো জিনিসপত্র পাবেন, যদি কারর কন আপত্তি থাকে আমাদের কে মেইল করে জানাবেন। admin@werbangali.com
আপনি যদি আমাদের e-commerce shop খুজ্জেন তাহলে এই লিঙ্ক এ ভিজিট করুন : shop.werbangali.com

হোঁচট : জীবনের বিরতি - ANKUR KUNDU

সন্ধ্যের পরে বৃষ্টিটা নিবিড় হয়েছে , বুঝেছি হবে না

সকালে ওঠা , সকালে যাওয়া !

       হনুমান টুপি-সোয়েটার-লাঠিও উঠবেনা ,

সন্ধ্যের পর বৃষ্টিটা নিবিড় হয়েছে , বুঝেছি হবে না

সকালে বিছানায় পড়ে থাকা !

 

সকালের আলো চোখে পড়ছে , চামড়াটা জ্বলছে

আর প্রতিফলিত হয়ে ফিরছে . . .

প্রতিফলিত হয়ে ফিরছে পাশেরই কুঁচকানো চামড়ায়

যেখানে হাত বোলালে শৃন্যে হাত ওড়ে . . .

       বৃষ্টির ফোঁটার মাঝেই ডুব মেরেছে

       কাজের মেয়ে ; তাই ব্রেক পেল না গত উপবাস ৷

টুকরো কাগজের নৌকা বাথরুমে ভাসছে , বালতির জলে

দুলছে অবিরাম আলস্য . . .

দুলছে অবিরাম আলস্য বাতাসের মতো , এদিক-ওদিক ,

বাদ পড়েছে শরীর , সেখানে সি-ও-টু . . .

 

শরীরে বাজনার শব্দ আয়নার মধ্যে লুকিয়ে যাচ্ছে

এবং সকালটাও নিভছে

যে চোখে নিজেকে দেখি সকলের আড়ালে

সে চোখে দেখেছি কষ্ট

চুড়ি-ভাঙার এবং হাত-কাটার ; একসাথে কত রক্ত

দেখেছি লোহার শরীরে

       লোডশেডিঙের ফাঁকেই মেঘ উঠেছে

       সারা শরীর জুড়ে –আকাশের ৷ সব দিক

       বন্ধ করতে হবে ; এক ফোঁটা বৃষ্টিও ভেজাতে পারে

নির্বিকার শরীরের ফ্লুইড যদি হাহাকার চায়

তবে ‘হিউমার’ কোথায়

নির্বিকার শরীরের ফ্লুইড রাতের মুখ মুখ ছিঁড়ে

ট্র্যাজেডি ছড়ায়

একপাশে বসে থাকে গেলাস-ভর্তি জলেরা , আর

দু’পাশেই জেগে থাকে ছায়ারা

 

রাত এসেছে রাতের মতোই ৷ দীর্ঘ পঁচাত্তর বছরের রাতে

বদলেছে নিস্তব্ধতার টেম্পো ;

তীব্র কন্ঠের নিভু নিভু আগুন সাড়ে সাত দশকেও জ্বলছে

ঠান্ডা জলের ঝাপটায় ;

যদি আমাকে বন্দী করে জিজ্ঞাসা করা হয়

ভালোবাসা কী ?

উত্তরে বলব –অস্তিত্ব , যার আগমনে অনুভূতি ,

যার গমনে অনুভূতি !

       রাত শেষে ভোর হতে বাকি আছে

       রাত শেষে আমার ঘুমটাও বাকি -

       সকালে ওঠা , সকালে যাওয়া

       সকালে বিছানায় পড়ে থাকা বাকি !

হাতের মুঠোয় বালি রেখে চেয়েছি বহু বছরের

পরে একটাই বছর ;

কিছু রাত জাগতে হয়েছে কাফন ও মাটির সামনে , আর

বাকিটা ভিজে কাঠের জল শুষে ;

ঘুমনোর আগে কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে

শূন্যতা কী ?

এঁকে দেব একটা বৃহৎ গোলক , যার মধ্যে আমি এবং

বিরতির পরে আমি !