মনের হ্রদিস - RATAN MONDAL
মনের হ্রদিস –রতন মণ্ডল
মনের হ্রদিস বোঝা ভয়ানক কঠিন কাজ। নিজেই বুঝতে পারা যায় না মন কি চায় বা কি চায় না।এই আছি মহানন্দে তো এই আবার মহা বেদনায় ভারাক্রান্ত। তবে মন যে গভীর কোনও ভাবনায় নিমগ্ন তা স্পষ্ট বোঝা যায়। সবাই যখন এমন ভাব দেখে পাগল আখ্যা দেয় তখন মনে মনে বেশ হাসি লাগে এই ভেবে যে তারা কোনও দিনও সেই জায়গাটায় পৌঁছাতে পারবে না। সেটা কোনও পার্থিব বস্তু আকাঙ্খায় নিমজ্জিত কিছু নয় সেটা এক অপার্থিব আনন্দের বহিঃপ্রকাশ বা অপার্থিব কোনও চাওয়া। আনন্দ যে এমন ভাবে প্রকাশ পেতে পারে তা বোঝা বড় কঠিন। জহর চেনা অবশ্য জহুরীর কাজ আমাদের এত ভেবে মনে হয় কাজ নেই, বেকার সময় নষ্ট, তাই না! যারা এসব ভেবে সময় নষ্ট করে তারা পাগল আর যাকে দেখে করে সেও বদ্ধ পাগল ছাড়া কিছু নয়। কিন্তু মায়ের আবার পাগল ছেলেই পছন্দ, আসল ব্যাপারটা ঘেঁটে একাকার। পরমহংস যদি হওয়া যায় তাহলে সেই জল ঘাঁটা দুধ থেকে দুধটা আলাদা করে ছেঁকে নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু সেটাও তো সহজ কাজ নয়। সবার পক্ষে এই পরমহংসের কাজটাও তো সম্ভব নয়।
আসলে নিজেকে জানানোর প্রবল ইচ্ছা হয়তো আছে, কিন্তু প্রকাশ করার জায়গা বা সময় বা ব্যক্তি বা পদ্ধতি কোনও টাই হয়তো ঠিক মনে হয় না। বলতে গেলেই হয়তো পুরানো কোনও বাধা চেপে ধরে সমস্ত প্রচেষ্টাকে, শেষ ফলাফল হয় ব্যর্থ। আর সেই বলতে যাওয়া না বলতে পারা কথাগুলো মনকে ক্রমাগত আঘাত করে আর বেরিয়ে আসার প্রবল চেষ্টায় মনকে আহত করে, কোনোদিন হয়তো নিহত করে দেবে।
বুঝবে ভেবে যাকে বলা হয় সে যখন না বোঝে সে আঘাত যে কত কঠিন তা না পেলে বোঝা খুব কঠিন। তাই নতুন কাউকে সেই বলার আগে পুরানো আঘাত ভোলা যায় না।