মডার্ন প্রেম - Tapan M Chisty(তপন এম. চিশতী)
সে প্রায় বছর তিনেক হয়ে গেছে,
প্রথম প্রেমের বিরহ যন্ত্রণায় কাতর এক কিশোর
যানজট মুখর ব্যস্তময় শহরের এক
সস্তা রেস্ততায় , একটুকরো শান্তির খোঁজে ;
বিগত বছরগুলির শীতলতম প্রেমের
তরতাজা স্মৃতি রোমন্থন ।
কাঁপা কণ্ঠের সম্বোধন -
আমি কি এখানে বসতে পারি প্লিজ !!!
কিন্তু কোন উত্তর পেলনা সে ।
কিছুক্ষন সাইলেন্ট মুভির নিঃশব্দ প্রোমোশন ,
আর তার পরেই
'সেকেন্ড টাইম লাভ এ্যাট ফার্স্ট সাইট ' ।
সহজ সরল এক বিবর্ণ নিস্তেজ মুখ ,
আহা এ যেন আমার
সীমাহীন মরুভূমির মাঝে হারিয়ে যাওয়া
'এক চিলতে সুখ' ।
গায়ের রঙটা কালো , ঢংটা বেশ ভালো ,
পরনে সবুজ শালোয়ার , আমার নিভতে বসা
ক্ষীণ প্রদীপে অক্সিজেনের জোয়ার ।
তারপর কন্টিনিউয়াস কন্ত্রভারসি, একদম শেষে
'মে আই হ্যাভ ইউর নাম্বার প্লিজ' !!
তখন ঠিক রাত ১২ টা ,
সেল ফোনের রিং বাজে ওপারে ,
'কুছ কুছ হোতা হ্যায়' .........
হ্যাঁ, বল ।
সারারাত চলল ধুলময় পুরানো 'অতীত সাহিত্যের
ইতিহাস পঠন -পাঠন ।
জমে থাকা মন খারাপের মেঘ,
বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ল অঝরে, রাতের পর রাত।
ধুয়ে গেল সমস্ত রাগ অনুরাগ, কথা হল
ছোট্ট ছোট্ট সুখ দুঃখ তারা করে নেবে
সমান ভাগে ভাগ ।
সময়ের সাথে এগিয়ে চলল
লং টার্ম রিলেশনশিপের চার পায়া , মাঝে মাঝেই
নেমে আসত, কালো সন্দেহের ছায়া।
কিন্তু পার্কের ধারে অথবা মাল্টিপ্লেক্সের কোনে
হারিয়ে যেত সব কিছুই -
শারীরিক উষ্ণতার আদান প্রদানে ।
একদা ' এণ্টাইজার' এর পিছনে বসে এল 'সে' ,
এক দামী রেস্তরাঁয় ,
খাবার দাবার এর বিল মেটাল 'ক্রেডিট কার্ডের'
ধারের টাকায় ।
বাইরে কিছু দূরে দাড়িয়ে ছিলাম আমি, আমায়
দেখে তার গালে খেল মিষ্টি একটা হামি ।
বাইকে চেপে হাত নাড়িয়ে আমায়
বলল - বাই ... ...
কানে কানে বলল ওকে, ডোন্ট অরি ডার্লিং
হি ইস লাইক মাহ্ ভাই ।
অবশেষে আবার এল সেই দিন,
মুক্ত করে দিল সে আমায়, মিটিয়ে দিয়ে গেল
আমার ভালবাসার ঋণ ।।