Bandevta - Dhananjay Mukherjee
পড়ার আগে আমার ছবির সিরিজ....‘বনদেবতা’' দেখুন
‘বনদেবতা’ GREEN GOD (Rainforest –Jewels of the Earth)
নিষ্টুর মানব সমাজের হাতে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া , প্রকৃতির এই অতুলনীয় ঈস্বরীয় অলংকারের আত্মকথা , আর আমার অন্তর -আত্মার কল্পনার এক বার্ষাবনের অবাস্তবিক চিত্ররূপ। পৃথিবীর বুকে বিলুপ্ত হয়ে চলেছে প্রকৃতির অতুলনীয় সুন্দর রূপ বার্ষাবনের বনদেব,
অনন্তকাল ধরে আঁকড়ে রেখেছে আমাদের জীবন প্রনালিকে। কতই না আঘাত অত্যাচারকরে চলেছি এই দেবতার বুকে, তবুও শুধু প্রাণ ভরে,
দু হাত উজার করে দিয়ে চলেছে...এই বনদেবতা…
আমাদের সভ্য জীবনে প্রকৃতির এই অতুলনীয় অলঙ্কারের মূল্যায়ন চিন্তন করতে গিয়েই আমার এই অবাস্তবীয় কাল্পনিক চিত্ররূপ।
আমরা কি এই দেবতার মূল্যায়ন করি? আজ বিলুপ্ত প্রায় ধংসের মুখে দাঁড়িয়ে প্রকৃতির এই দেবতার জন্য সার্বজনীন উগ্র ভাবে কোনো বিচার,
আলোচনা বা মূল্যায়ন আমরা করি না , আমরা পুজো বা ঊৎসব মানিয়ে থাকি আমাদের ধর্ম অনুযায়ী ,কিন্তু কখনো এই দেবতার পুজো
বা পার্বন করতে দেখা যায়নি, কোনো প্রশাসন বা সাংবাদিক মাধ্যম কে উগ্র ভাবে আলোচনা বা সমালোচনা করতে দেখিনি...
দেখেছি রাজনীতি, অর্থনীতি, কূটনীতি বা গ্লামারেরকথা। কখনো কি ভেবে দেখেছি অক্সিজেনের দাম কত ? শুদ্ধ বাতাসের বা বৃষ্টির দাম কত ?
আমি দেখার চেষ্টা করেছি এক কাল্পনিক চিত্ররূপ দিয়ে এই দেবতা কে। আমার নয়নের বিন্দু দুটো প্রকৃতির এই গভীর বর্ষাবনের অন্দরমহলে অন্তর্ধাম হওয়া এক দিব্যশক্তির অবাস্তব চিত্ররূপ পরিস্ফুটনের কল্পনা করেছে, যেন শান্তিকুন্ডে আবির্ভূত হয়েছে এক যুগপুরুষের। প্রকৃতির লীলায় আলো-ছায়ার লুকোচুরিতে সাতরং এ তুলির ছন্দে ফুটে উঠেছে এক মায়াবীর আত্মকথা, ওই তো উদয় হয়েছে দুতিপাতা, বৃষ্টিতে ভেজা চোখের নয়নতারা চমকে উঠেছে
যেন মতির উপর সুর্যোদয় হয়েছে। দুটো পাতা ঠোট দুটোকে ঢেকে ব্যঙ্গ হাসিটা লুকিয়ে রেখেছে। প্রজাপতি, কিট-পতঙ্গ, ফুল আর লতাপাতারা ব্যস্ত হয়ে উঠেছে অর্ঘ্য দেওয়ার জন্য , জড়িয়ে আশির্বাদ নিতে চাইছে এই মায়াবীর কাছে...
ডালের পাতায় গাছেরফাঁকে উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করছি এই মায়াবী যুগপুরুষ কে...কে উনি ?? …উনি কি আমার কাল্পনিক চিত্রায়ণ'বনদেবতা'...
ভুল থাকলে ক্ষমা করবেন... ভালো লাগলে শেআর করবেন....ধনঞ্জয়